আরবি ‘মিরাজ’ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রজনী উপমহাদেশে শবে মিরাজ হিসেবে পরিচিত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কুদরতিভাবে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিরাজের পটভূমি সম্পর্কে জ্ঞানীরা বলেছেন, জন্মের আগেই বাবাকে হারান প্রিয় নবী (সা.)।
মিরাজ হলো ঊর্ধ্বগমন বা সফর; অর্থাৎ মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা; সেখান থেকে সাত আসমান পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা; তারপর মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সফর। মিরাজের সফরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিভিন্ন নিদর্শন দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে নানা পাপকর্মের শাস্তিও রয়েছে...
মিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের কর্তব্য। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে...
পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ ভালোবাসেন। এমন মানুষের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘সেখানে এমন ব্যক্তিরা আছে, যারা উত্তম রূপে পাক-পবিত্র হওয়াকে ভালোবাসে। আর যারা উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।
আল্লাহর ভয় মুমিনের অন্যতম সম্পদ। সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয় অন্তরে জাগরূক থাকা ইমানের অংশ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, অন্তরে আল্লাহকে সেভাবে ভয় করো, যেভাবে তাঁকে ভয় করা উচিত। সাবধান!
আল্লাহ তাআলার অগণিত নাম রয়েছে। সবগুলোকে একত্রে আসমাউল হুসনা বলা হয়। প্রতিটি নাম আল্লাহর গুণ-বৈশিষ্ট্যের পরিপূর্ণতার প্রমাণ। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আল্লাহর জন্য সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকবে। আর তাদেরকে বর্জন করো, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে। সত্বরই তাদেরকে...
মানুষের মধ্যে এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা জীবনে সফলতার পথের অন্তরায়। তাই নবী (সা.) এমন সব অভ্যাস থেকে সব সময় পানাহ চেয়েছেন। সেই তিনটি বদভ্যাস হলো—
ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে...
আল্লাহ তাআলা হিজরি সনের চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে মাসের সংখ্যা হলো বারো। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই ওই সময়ে নিজেদের ওপর জুলুম কোরো না...
সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যোদয়ের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে ইসলামের পরিভাষায় ফজর বলা হয়। ইসলামে দৈনিক যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে, এর মধ্যে ফজরের নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ববহ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ফজরের শপথ করেছেন। ফজর নামে স্বতন্ত্র একটি সুরাও নাজিল করা হয়েছে। ফজরের নামাজের নির্দেশ দিয়ে এর
ইসলামে জুলুমের স্থান নেই। কেননা ন্যায়প্রতিষ্ঠা ইসলামের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ন্যায়প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল
পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায়
ইসলামি আলোচকদের আলোচনায় প্রায় শোনা যায়, কিয়ামতের আগে আল্লাহর নবী হজরত ঈসা (আ.) পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করবেন। কোরআন-হাদিসের আলোকে এর সত্যতা জানতে চাই।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগে যত নবী-রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন, সবার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলামের মৌলিক আকিদার অন্তর্ভুক্ত। হজরত ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাইলের সর্বশেষ নবী ও কিতাবধারী রাসুল। পবিত্র কোরআনের ১৫টি সুরার ৯৮টি আয়াতে তাঁর জীবনের নানা দিক আলোকপাত করা হয়েছে।
দূরে কোথাও সফরে গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের মধ্য থেকে একজনকে সঙ্গে নিতেন। হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন যুদ্ধেও স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়।